শনিবার, ৫ জুন, ২০১০

শেয়ার ব্যবস্য -০১

যারা নতুন সবে মাত্র ব্যবসা শুরু করেছেন তাদের জন্য। কারন আমরা ভালমন্দ বিচার না করে শেয়ার কিনি পরে তা লোকসান দিয়ে বি্ক্রি করতে হয় ফলে আমাদের অনেক টাকা ক্ষতি হয়ে যায়। তখন চোখে অন্ধকার দেখা ছাড়া কিছুই থাকে না । যদি আমরা শেয়ার কেনার আগে একটু সচেতন হই তাহলে আমার মনে হয় থুব বেশি ক্ষতি হওয়ার হাত থেকে আমরা রেহাই পাব। প্রথমে আমি আপনাদের ভাল ক্যাটাগরির শেযার কেনার পরামর্শ দেব। মার্কেটে বিভিন্ন ক্যাটাগরির শেয়ার আছে যেমন : এ, বি, জি, এন এবং জেট ।
এবার বলি কো্নটা কি ?
. এ ক্যাটাগরির শেয়ার : যে সব কোম্পানী প্রতিবছর বার্ষিক সাধরনষভা করে এবং ১০% বা তার অধিক লভ্যাংশ দেয়।
২. বি ক্যাটাগরির শেয়ার : যে সব কোম্পানী প্রতিবছর বার্ষিক সাধরনসভা করে কিন্তু ১০% এর নিচে লভ্যাংশ দেয়।
৩. জি ক্যাটাগরির শেয়ার : যে সকল এখনো বানিজ্যিক কার্য্ক্রম শুরু করেনি সেই সব কোম্পানী ।
৪. এন ক্যাটাগরির শেয়ার : সদ্য তালিকাভুক্ত কোম্পানীকে এন ক্যাটাগরির মধ্যে রাখা হয় । পরে লভ্যাংশ ও বার্ষিক সভার উপর ভিত্তি করে অন্য ক্যাটাগরিতে নেওয়া হয়।
৫. জেট ক্যাটাগরির শেয়ার : যে সকল কোম্পানি নিয়মিত বার্ষিক সাধারন সভা করতে ব্যার্থ। লভ্যাংশ প্রদান করতে ব্যার্থ। পুঞ্জিভুত লোকসান পরিশোধিত মুলধনকেও ছাড়িয়ে যায়। ছয় মাস বা ততোধিক কাল সময় উতপাদন বন্ধ থাকে।
** কোনটা কোন ক্যাটাগরির শেয়ার তা জানার জন্য ভিজিট করুন। http://www.dsebd.org । বিস্তারিত তথ্য এই সাইটে পাবেন।
শেয়ার কেনার আগে আপনাকে আরো কিছু ধারনা দিতে চাই যে গুলি খুবই গুরুত্বপুর্ন যেমন :
শেয়ার প্রতি আয় ( Earning per share) EPS : Eps= কর-বাদ নিট মুনাফা/মোট ইক্যুইটি শেয়ারের সংখ্যা। এটি অত্যান্ত গুরুত্বপুর্ন অনুপাত যা শেযার হোল্ডার দের বলে দেয় তারা প্রতি শেয়ারে কত লাভ করেছ। ভাল লাভ হলে ভাল ডিভিডেন্ট পাওয়ার আশা থাকে আর লাভ কম হলে ডিভিডেন্ট ছাড়াই সন্তুষ্ট থাকেতে হয়।
ডিভিডেন্ড আয় উতসারন অনুপাত(dividend yield ratio)Dyr=(শেয়ার প্রতি ডিভিডেন্ট প্রদান/বাজার মুল্য প্রতি শেয়ার)*১০০
এটা একজন বিনিয়োগ কারী বাজার মুল্যে শেয়ার কিনে যে মুনাফা পায় তার শতকরা হার।দ্বিতীয় স্তরের বাজার থেকে শেয়ার কিনলে অনেক সময় ইস্যু মুল্যের উপরে মুল্য প্রদান করে কিনতে হয়। আবার কখনো কখনো ইস্যু মুল্যের কমেও পাওয়া যায়।
মুল্য-আয় অনুপাত(price earning ratio: P/E)PE= প্রতি ইক্যুইটি শেয়ারের বাজার মুল্য/শেয়ার প্রতি আয়।এটাও খুব গুরুত্ত্বপুর্ন সমীকরন।যখন বাজার চাঙ্গা থাকে তখন পিই উচুতে থাকে আর মন্দা হলে এটা কম থাকে। অস্বাভাবিক অবস্থা ছাড়া পিই সাধারনত এর বিগত কয়েক বছরের গড় মানের কাছা কাছি থাকে।
আপনি ঢাকা ষ্টক এর ওয়েবসাইডে সব কোম্পানীর পিই পাবেন । যেই শেয়ার পিই যতবেশি সেই শেয়ার কেনা ততবেশি ঝুকিপৃর্ন । আপনি সাধরনভাবে ১৫-২০ পিই ক্যাটাগরির শেয়ার কিনতে পারেন । ২০-২৫ পিই ক্যাটাগরির শেয়ার কিনার আগে একটু চিন্তা করে কিনুন যদি ঔ কোম্পানীর সুনাম ভাল থাকে বা নামকরা কোম্পানী হয় তবে কিনতে পারেন । যদি পিই ৩০ এর উধ্বে হয় তবে শেয়ার কেনা ঝুকিপুর্ন হয়ে যাবে। আমি আপনাদের পথ দেখিযে দিলাম এর পর গানিতিক হিসাব নিকাশ করে আপনার নিজ দয়িত্বে শেয়ার কিনবেন।

৩টি মন্তব্য:

  1. শুভেচ্ছা জানাই,
    আমরা ইন্সটাফরেক্স কোম্পানি থেকে বলছি। ইন্সটাফরেক্স আপনাকে খুবই আকর্ষণীয় কমিশনের সাথে এক পার্টনারশিপ প্রোগ্রাম অফার করছে। অনুগ্রহ করে আপনার ইমেইল এড্রেসটি প্রদান করলে পরবর্তীতে আপনার সাথে যোগাযোগ করা হবে।
    আমরা আপনার ফিডব্যাক এর অপেক্ষায়ে আছি। আশা করছি, খুবই শীঘ্রই আপনি আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন।

    উত্তরমুছুন